প্রকাশিত: ২৫/০৯/২০১৬ ৭:৫১ এএম

সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া  নিউজ  ডটকম::
পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসা মরণ নেশা ইয়াবাসহ বোতলজাত মাদকদ্রব্য ছেয়ে গেছে উখিয়ার গ্রামীণ জনপদ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন স্পটে চলছে খুচরা মাদকের রমরমা বাণিজ্য। মাদকের আগ্রাসন ভয়াবহ আকারে বিস্তৃত হওয়ায় যুবসমাজ বিপদগামী হয়ে পারিবারিক সহিংসতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে বলে দাবী করছেন সচেতন মহল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা মোটরসাইকেল আরোহী ২জন পাচারকারী সাথে থাকা ইয়াবার প্যাকেট ছিড়ে গিয়ে উখিয়ার টিএন্ডটি এলাকার সড়ক পথে ইয়াবার ছড়াছড়ি হয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ-শিশু ইয়াবা কুড়াতে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। উখিয়া থানার এসআই মাঈন উদ্দিন ইয়াবার খুঁজে মানুষ বেরিয়ে আসার কথা স্বীকার করলেও তিনি ইয়াবার অস্থিত্ব খুঁজে পাননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে উখিয়া কলেজের বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র জানান, ইয়াবার প্যাকেট ছিড়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার এড়াতে মোটরসাইকেল আরোহীরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিসহ এলাকাভিত্তিক চিন্থিত অর্ধ শতাধিক সিন্ডিকেট সীমান্তের নাফনদী পেরিয়ে  ইয়াবার চালান বস্তিসহ নিদ্ধিষ্ট কয়েকটি এলাকায় মজুদ করে। পরে গ্রামগঞ্জের খুচরা মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এসব ইয়াবা পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী, বালুখালী, রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং, উখিয়া সদর, ডিগলিয়াপালং, ডেইলপাড়া, আমতলী, রতœাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার মসজিদ রোড, রতœা তেলীপাড়া, টেকপাড়া, পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বে, ভালুকিয়াপালংসহ বিভিন্ন চায়ের দোকান, মুদির দোকান, পান, বিড়ি-সিগারেটসহ চনা বাদাম বিক্রির আড়ালে খুচরা মাদক বিক্রি হচ্ছে। সুত্র জানায়, উখিয়া উপজেলার কয়েকটি চিন্থিত সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভুমিকা রহস্যজনক। এসব সিন্ডিকেটের মধ্যে লম্বাঘোনার মাহমুদুল করিম খোকা সিন্ডিকেট,দুছড়ির আতাউল্লাহ সিন্ডিকেট,সোনারপাড়ার ছমি উদ্দিন,জালাল উদ্দিন,নুরু উদ্দিন তিনভাই সিন্ডিকেট,খয়রাতির মাহমুদুল হক সিন্ডিকেট,কুতুপালংয়ের সুশিল বড়ুয়া সিন্ডিকেট, বালুখালীর এনাম সিন্ডিকেট ও ইমাম হোসেন সিন্ডিকেট অন্যতম। খুচরা বাজারে ইয়াবা পাওয়ার সুবাধে এলাকার কিশোর যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে সমাজে অস্থিতিশীল পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। আকারে ছোট ও নিরাপদ বহন যোগ্য হওয়ার সুবাদে পুলিশ বার বার চেষ্টা করেও খুচরা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রদের হাতে নাতে গ্রেপ্তার করতে না পারায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন ইয়াবাসহ বোতলজাত মাদকের বিস্তৃতি বেড়েছে বলে দাবী করে হেল্প কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম জানান, মাদকাসক্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে। তিনি বলেন, মাদকাসক্ত পুত্রের হাতে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হচ্ছে বয়োবৃদ্ধ পিতামাতা। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। অছিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় বৌদ্ধ আশ্রমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি বৌদ্ধ আশ্রমে শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সেখানকার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর শিশুটির ...

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ...